২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে বের করে নেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। সেসময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের তেল বিক্রির পরিমাণ শূন্যতে নামিয়ে আনার জন্য তিনি সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন।
কিন্তু তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ধীরে ধীরে ইরান আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও তেলের রাজত্ব গড়তে সক্ষম হয়। জানা গেছে, ২০২১ সালে ইরান থেকে রেকর্ড পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে চীন।
২০১৮ সালের পর ইরান থেকে চীনের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করার রেকর্ড এটি। এদিকে, ট্রাম্পের দেয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরান ভেনেজুয়েলায় এবং লেবাননে জাহাজ ভর্তি তেল পাঠিয়েছে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরান এবং পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরমাণু সমঝোতা পুনর্বহাল এবং তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ইস্যু নিয়ে সংলাপ চলছে। আশা করা হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে সেখানে চুক্তি হবে এবং এরপর ইরান আন্তর্জাতিক বাজারে আগের মত তেল রপ্তানি করতে পারবে। ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ইরানের আরো নতুন তেল চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।